Skip to content

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গার নাম-Uddin.com.bd

  • by

বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এর প্রতিটি জেলা ও অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে প্রাকৃতির অবিরাম সুন্দর্য।বাংলাদেশ অনেক সুন্দরতম জায়গা আছে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য।সবচেয়ে সুন্দর জায়গার নাম বলতে গেলে এটি অনেকটাই ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। ঘুরতে যাওয়ার কথা বললে সবার আগে নাম আসে কক্সবাজারে নাম।কক্সবাজার হলো আমাদের জন্য ভ্রমণে যাওয়ার প্রথম গন্তব্য স্থান।

এই ব্লগ পোস্টে কয়েকটি ভ্রমণের সুন্দরতম জায়গায় নাম তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গার নাম

১. সুন্দরবন

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, আর অগণিত জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই বন একবার দেখলে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।

সুন্দরবনের অবস্থান খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় বিস্তৃত।সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রাকৃতিক আবাসস্থল। এছাড়া এখানে হরিণ, বানর, সাদা পাখি, কুমির, আর নানা প্রজাতির গাছপালা ও প্রাণী দেখা যায়।

পর্যটকদের মেইন আকর্ষণ হলো কটকা ও কচিখালী পর্যটন এলাকা। নদীতে নৌকাভ্রমণ,টাইগার ও বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগ। অনেকে জানে না যে সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়া যায়। সুন্দর বন বাঘ আর হরিণের জন্য বিখ্যাত না।

এটি ঘুরতে যাওয়ায় জন্য ও বিখ্যাত।আপনি নৌকা ভ্রমণ করতে ভালো বাসলে তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে সুন্দর বন ভ্রমন করতে হবে। সারা রাত নৌকা ভ্রমনে কাটিয়ে দেওয়া যায়।

২. সাজেক ভ্যালি

বাংলাদেশের “ছাদ” হিসেবে পরিচিত সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। মেঘের ভেলায় হারিয়ে যাওয়ার জন্য সাজেক এখন পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় স্থান। যদি মেঘের দেখা পেতে চান তাহলে সাজেক চলে যেতে পারেন। শীতকালে মেঘের সাথে দেখা করার একমাত্র জায়গা হলো সাজেক ভ্যালি।এটি রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় অবস্থিত।

ভ্রমন লাভাররা কক্সবাজার না গেলেও মিনিমাম ৪-৫ বারের উপর এসেছে। কক্সবাজার আসতে যারা অতিষ্ঠ হয়েছে তারা এখন বন আর পাহাড় এর সন্ধানে নতুন নতুন জায়গা খুজতে থাকে। পাহাড় খুজতে খুজতে অনেকে সাজেক ভ্যালিতে চলে আসে।

সাজেক পাহাড়ি এলাকায় মেঘের সাথে খেলা দেখতে পাওয়া যায়। ভোর বেলায় মেঘের সাথে খেলা করা কতই না আনন্দের। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মেঘের সাথে দেখা আপনার হাতে আছে এক কাপ চা।ভেবে দেখনুতো আপনার কতই না ভালো আর আনন্দ লাগবে।

পর্যটকদের আকর্ষণ হলো মারিশা থেকে সাজেক যাওয়ার মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি এলোমেলো পথ। কংলাক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা। বাংলাদেশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দেখতে গেলে সাজেকে কিংবা বান্দরবান যেতে পারেন।সাজেকের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারা তাদের খাবার সম্পর্কে ও অনেক কিছু জানতে পারে।

৩. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন বালুকাময় সমুদ্র সৈকত হলো কক্সবাজার। এই সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর একটি। সবচেয়ে জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও আমরা এটাকে ১ নাম্বারে রাখি নাই তার কারণ হলো কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত আসে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। প্রতিবছর লক্ষ্য লক্ষ্য ভ্রমণ প্রেমিরা চলে আসে কক্সবাজারে ঘুরার জন্য।

এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত মধ্যে একটি (প্রায় ১২০ কিলোমিটার)।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে যা সহজেই ঘুরে দেখা যায়। যেমন হিমছড়ি জলপ্রপাত, ইনানী বিচ, এবং মহেশখালী দ্বীপ। এই সবকিছু মিলিয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত একটি কেন্দ্রবিন্দু হিসাবে কাজ করে। পাহাড় দেখতে চান তাহলে সাজেক ভ্যালিতে যেতে পারেন, সমুদ্র দেখতে চান তাহলে কক্সবাজার হলো আপনার প্রথম গন্তব্য হওয়া উচিত।

পর্যটকদের আকর্ষণ:

  • লাবনী পয়েন্ট ও হিমছড়ি জলপ্রপাত।
  • ইনানী সৈকতের প্রবাল পাথর।
  • সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মোহনীয় দৃশ্য।

৪. সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন। নীল পানি, প্রবাল, আর শান্ত পরিবেশের জন্য এটি প্রকৃতিপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ। সেন্টমার্টিন যেতে হলে আপনাকে কক্সবাজার আসতে হবে আগে। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এটি।

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পযন্ত সেন্টমার্টিনে আসা যাওয়া করা যায়।

পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ হলো ক্রিস্টাল-স্বচ্ছ নীল পানি।

এখানে ১০০% নেচারাল সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায় একদম টাটকা।

St. Martin’s Island যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌ-পথ। এখানে যেতে হলে আপনাকে বিভন্ন জাহাজ এর মাধ্যমে যেতে হবে।

৫. জাফলং

চায়ের দেশ হলো সিলেট।চায়ের জন্য পরিচিত হলেও সিলেটের জাফলং পাহাড়ি নদী আর পাথরের সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষা এই জায়গাটি প্রকৃতির এক অপূর্ব উপহার।

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত।ভারতের মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা নদীর পাথর আর চারপাশের সবুজের সমারোহ।

পর্যটকদের মেইন আকর্ষণ হলো:

  • পিয়াইন নদীতে নৌকাভ্রমণ।
  • পাথর উত্তোলনের স্থানীয় প্রক্রিয়া।
  • মেঘালয়ের ডাউকি নদীর অপূর্ব দৃশ্য।

৬. বান্দরবানের নীলগিরি ও নীলাচল

পাহাড়ের কথা বললে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এর কথা সবার আগে। বাংলাদেশের বেশ কিছু পাহাড় রয়েছে তাঁর মধ্যে উল্লেখ হলো, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানের পাহাড় বেশি।এগুলো পাহাড়ি অঞ্চল। বান্দরবান পরিচিত লাভ করেছে মেঘ, আর প্রকৃতির স্নিগ্ধ পরিবেশের জন্য নীলগিরি ও নীলাচল ও চিম্বক অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য।

বাংলাদেশের সৌন্দর্যের রত্ন বান্দরবন। পাহাড়

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত এই জায়গাগুলো পাহাড় ও মেঘের মিতালি উপভোগের জন্য বিখ্যাত। নীলগিরি থেকে মেঘ ছোঁয়ার অভিজ্ঞতা। পাওয়ার জন্য অনেই এটাকে পছন্দ করে থাকে। নীলাচল থেকে বান্দরবান শহরের প্যানোরামিক ভিউ দেখতে কতই না সুন্দর লাগে।

৭. পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহার

ইতিহাসপ্রেমীদের জন্য পাহাড়পুরের সোমপুর মহাবিহার একটি অনন্য স্থান। এটি প্রাচীন বাংলার স্থাপত্যশৈলীর এক উজ্জ্বল উদাহরণ।নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। এটি প্রাচীন বাংলার অন্যতম বড় বৌদ্ধ বিহার।

যাঁরা ইতিহাস প্রেমি আছে তাদের জন্য এই বৌদ্ধ বিহার হলো সবচেয়ে পরিচিত।ইতিহাসপ্রেমি ছাড়াও পর্যটকদের আকর্ষণের একটা জায়গা।বিহারের অনন্য স্থাপত্যশৈলী, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। বৌদ্ধদের সম্পর্কে জানতে হলে এক বার ঘুরে আসতে পারেন।

সর্বশেষ,

বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা নির্ধারণ করা খুবই কঠিন। প্রতিটি জায়গার নিজস্ব সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনি যদি প্রকৃতি, ইতিহাস, বা ঐতিহ্য উপভোগ করতে চান, তবে এই জায়গাগুলোর যেকোনো একটি আপনার জন্য আদর্শ হতে পারে। যদি সময় বের করতে পারেন তাহলে উপরে উল্লেখিত যে কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

আপনার কোন মতামত থাকলে জানাতে পারেন, আমাদের সাথে যুক্ত হতে টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *