গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা খুবই লাভজনক ও সহজ । শহরের তুলনায় গ্রামে প্রতিযোগিতা অনেক কম। স্থানীয় সম্পদ সঠিক ব্যবহার করতে পারলে অল্প পুঁজিতে শুরু করা যাবে একটি সফল ব্যবসা।এই ব্লগ পোস্ট আমরা জানবো কি করে গ্রামে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার যায়,ব্যবসার সুযোগ, সুবিধা এই ব্যবসাকে লাভজনক কি করে করা যায় এসব নিয়ে বিস্তারিত।
কি করে শুরু করবো গ্রামে ক্ষুদ্র ব্যবসা? (How to Start a Small Business in Rural Areas)
গ্রামে ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হবে। ব্যবসা করার আগে রিসার্চ করতে হবে, ব্যবসার মূলদন দেখতে হবে আরও দেখতে হবে কি ব্যবসা করলে আপনার জন্য লাভজনক হবে ইত্যাদি।ব্যবসা শুরু করার জন্য কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করুন দেখবেন আপনি ব্যবসা করতে পারবেন।
ব্যবসার ধারণা নির্বাচন করুন:
পৃথিবীর শুরু থেকে যেসব বিজনেস হয়েছে সবই ধারণা থেকে এসেছে। আপনি ধারণা নিন কি জিনিসের চাহিদা আপনার এলেকায়। এই পণ্য দিয়ে শুরু করুন আপনার প্রথম বিজনেস মডেল। যদি মনে করেন আমার এলেকায় কি ব্যবসা চলবে সেটার আইডিয়া আমার নাই তাহলে এখন আমি কি করতে পারি।
আপনার এলাকায় কী ধরনের পণ্যের চাহিদা বেশি, সেটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ উদাহরন হলো:যদি আপনার এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা বেশি হয়, তাহলে মুদি দোকান আপনার জন্য উপযুক্ত।
যদি মাছের যোগান থাকে তাহলে মাছ সংগ্রহ করে শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা ভালো। যে জিনিস এর উৎপাদন বেশি, বিক্রি কম এই পণ্য নির্বাচন করা আপনার জন্য উপযোগী।যদি হাস,মুরগি, গরু পযার্প্ত পরিমাণে থাকে আপনার জন্য খামার ব্যবসা করা উচিৎ।
পুঁজি নির্ধারণ করুন :
ব্যবসার জন্য পুঁজি হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।পুঁজি না থাকলে ব্যবসা শুরু করা যাবে না, ব্যবসার প্রথম মূলধন হলো পুঁজি। ব্যবসার জন্য কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন তা আগে থেকে নির্ধারণ করুন।যদি পুঁজির সমস্যা থাকে তাহলে অল্প পুঁজি দিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করুনg পরবর্তীতে ব্যবসার আকার বাড়ান।
যদি সম্ভব হয় ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া। অনেক NGO আছে তারা ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে ব্যবসার জন্য সহায়তা করে থাকে।৫০-৬০ হাজার টাকার ঋণ নিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করা যায়। পুঁজি না থাকলে ও সমস্যা নাই, আপনার বুদ্ধি পরিচয় দিন ব্যবসার জন্য। স্থানীয় কৃষক থেকে সকালে পণ্য নিয়ে সেটা বাজারে বিক্রি করে সন্ধার সময় টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।
স্থানীয় সম্পদ ব্যবহার :
আমাদের কাছে সম্পদ থাকার সত্বেও আমরা সঠিকভাবে এগুলো ব্যবহার করতে পারি না। একটু চিন্তা করুন আপনার আশেপাশে কতই না রিসোর্স বা সম্পদ আছে যেগুলো ব্যবহার করে শুরু করা যাবে ব্যবসা।
গ্রামীন জীবন আলাদা মজাদার। গ্রামে সম্পদ হচ্ছে কৃষি পণ্য, জমি, পানির উৎস ব্যবহার করে ব্যবসা শুরু করুন। এতে খরচ কম হবে এবং লাভ বেশি হবে।গ্রামে জমির জন্য চিন্তা করতে হবে না, পানির জন্য ও চিন্তা করতে হবে না এখন শুরু করে দিন খামার বা কৃষি কাজ।
সরকারি সহযোগিতা
বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ভর্তুকি, ঋণ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ দেয়। আপনার উপজেলায় যুব উদয়ন অধিদপ্তরের যোগাযোগ করুন তারা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করবে।
আরও যোগাযোগ করতে পারেন উপজেলা কৃষি অফিস এর সহায়তায় স্থানীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য যাবতীয় তথ্য আপনাকে জানাবে।
আপনার সুবিধা মতো বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখুন ঝণ নেওয়ার জন্য। কারা আপনাকে সহজে কম ঝামেলায় ঋন দিব। সবচেয়ে ভালো হয় সরকারি সহয়তা পেলে এটা হবে উত্তম।
ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরি করুন
আপনার টার্গেট কাস্টমার কারা, তা বুঝে ব্যবসার পরিকল্পনা তৈরি করুন। মুদির দোকানে করলে আপনার কাস্টমার হবে ভিন্ন, মুরগী খামার করলে আপনার অডিয়েন্স হবে ভিন্ন।
একটা ব্যবসা পরিচালনার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক পরিকল্পনা।কীভাবে ব্যবসা পরিচালনা করবেন? কী পরিমাণ পণ্য উৎপাদন করবেন? কীভাবে বিক্রি করবেন? তা নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করুন। একটা কথা আছে Practice make more perfect. আপনি যতই গবেষণা করবেন ততই আপনার ব্যবসা হবে রমাধমা।এই বিষয় গুলো বিবেচনা করে শুরু করতে পারেন আপনার গ্রামীন ব্যবসা।
গ্রামে স্বল্প পুঁজিতে খামার ব্যবসা করলে লাভবান হওয়া যাবে?
গ্রামে খামার ব্যবসা করতে হলে দীর্ঘমেয়াদ পরিকল্পনা নিয়ে করতে হবে। খামার করার জন্য ভালো একটা জায়গা প্রয়োজন যদি ভালো জায়গা না থাকে তাহলে জমি লিজ নিয়ে করতে পারেন তার জন্য বছর ভিত্তিক একটা চুক্তি করে খামার করা যাবে।
২০-৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারেন নিজ বাড়িতে। নিজ বাড়িতে জায়গা না থাকলে জমি লিজে নিয়ে শুরু করা যেতে পারে তার জন্য ৮০,০০০-১০০,০০০ টাকার ভিতরে বানিজ্যিক আকারে শুরু করা যেতে পারে।
গ্রামীণ এলাকায় খামার পরিচালনা করার জন্য বেশি কষ্ট লাগে না। এই টাকা ৩-৬ মাসের মধ্যে রিকভারি করা সম্ভব।
গ্রামে শ্রম তুলনা মূলক ভাবে সস্তা, কম শ্রম মূল্য কারণে যে কোন ব্যবসা সহজে করা যায়।খামার করলে হবে না, তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ভালো প্রশিক্ষণ নিলে খামারে সফল হওয়া যাবে।
পোল্ট্রি খামার
গ্রামে ব্যবসার কথা আসলে সবার আগে মাথায় আছে হাস মুরগী খামার। এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা ব্যবসার মডেল, সামান্য ইনভেস্ট দিয়ে শুরু করে ভালো একটা এমাউন্ট আয় করা সম্ভব।
মুরগি খামার সবচেয়ে জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো, বাড়িতে প্রাথমিক ভাবে ২০-৩০ টি মুরগি নিয়ে শুরু করা যায়।২০-৩০ টি মুরগি নিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে বাণিজ্যিক আকারে করা সম্ভব।
পুঁজি হিসাব করলে প্রাথমিকভাবে সামান্য পরিসরে নিয়ে শুরু করা যাবে। ২০-৩০টি মুরগি দিয়ে শুরু করলে এর দাম আসবে ১০-১২ হাজার টাকার মতো। বাড়ির জন্য লাগবে ৫-৬ হাজার টাকা, খাবারের জন্য লাগবে ৪-৫ হাজার টাকা মতো।
২০-২৫ হাজার টাকায় ছোট আকারে দেশী মুরগি খামার শুরু করতে পারেন।এই খামার ৩-৪ মাসের মধ্যে বড় আকারে খামারে পরিণত হবে।
লাভের সুযোগ:
একটা দেশি মুরগী ১২-১৮ টা ডিম দিয়ে থাকে। এই ডিম কুপে দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১দিন লাগবে। আপনার ২০-৩০ টা দেশী মুরগি মধ্যে অন্তত ১৫ টা মুরগি ডিম পাড়লে একসাথে আপনার দৈনিক ডিমের সংখ্যা হলো ১৫০ টা। ১০ দিন পর টুটাল ডিমের সংখ্যা হবে ১২০০-১৫০০ টা। ১৫০০ টা ডিম থেকে আপনি ১০০০ টা বাচ্চা ফুটালে সবই টাকা।
এই বাচ্চা ভেকসিন করে ৭-৮ দিন বয়সে বিক্রি করে দিলে আপনার প্রোফিট আসবে, ৫০-৬০ হাজার টাকা মতো সব খরচ বাদ দিয়ে আপনার প্রোফিট আসবে মিনিমাম ২৫-৩০ হাজার টাকা মতো।
৩ থেকে ৪ মাসে এই টাকা আপনার লাভ ভাবা যায়। তবে এটি করার জন্য আপনাকে ভালো দক্ষ হতে হবে, দক্ষ মানুষের আয়ের অভাব থাকে না।এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে, আপনি নিজেকে যত দক্ষ করবেন ততই আয়ের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।
শুধু বাচ্চা উৎপাদন না আপনি মাংস জন্য ও মুরগী পালন করতে পারেন। তবে এট লং-টার্ম প্রসেস এটার জন্য ভালো ইনভেস্ট প্রয়োজন হয়। বর্তমান সময়ে ৫০০-৬৫০ টাকা পযন্ত দেশী মুরগী কেজি বিক্রি করে থাকে।
আপনি পাইকারি আকারে বিক্রি করলে ৪৫০-৫৫০ টাকা পযন্ত বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিবছর আপনি ৫০০ কেজি মতো মুরগী বিক্রি করলে আপনার প্রোফিট কেমন হবে চিন্তা করে দেখুন।
গবাদি পশু পালন
গরু, ছাগল ও ভেড়ার খামার লাভজনক। কুরবানির সময় এগুলো চাহিদা থাকে আকাশচুম্বী।তবে এটা শুরু করতে ভালো ইনভেস্ট প্রয়োজন আছে। ২-৩ লক্ষ্ টাকা দিয়ে এই গবাদি পশু পালন শুরু করতে পারেন। আপনার ভালো ইনভেস্ট থাকলে একটা ভালো খামার করা সম্ভব ছাগলের জন্য। তবে ছাগল পালন করতে উচু জায়গা, কাঁচা ঘাস ব্যবস্থা থাকতে হবে তাহলে ছাগল পালনে লাভজনক হবে।
মনে রাখতে হবে এটা মুরগী মতো তাড়াতাড়ি আয় হবে না। দীর্ঘমেয়াদী আয়ের জন্য এটা উপযোগী।ছাগলের খামার তুলনামূলক কম পুঁজিতে শুরু করা যায়।চামড়ার ব্যবসা ও মাংসের বাজার শহরে খুবই লাভজনক।ছাগলে চাহিদা সবসময় থাকে তবে কুরবানির সময় একটু বেশি থাকে।
মাছ চাষ
নদীর দেশ বাংলাদেশ।গ্রামে মাছ চাষ আরেকটা ভালো পদক্ষেপ। গ্রামে অনেক পুকুর, ডোবা রয়েছে যা পরিত্যক্ত এখানে আপনি মাছ চাষ করতে পারেন। মাছ চাষ করতে হলে ছোট কাটো ইনভেস্ট লাগবে, পুঁজি জন্য আপনার প্রয়োজন একটা ডোবা, মাছের পোনা খাবার কেনার কিছু অল্প বিনিয়োগ।
২০-৩৫ হাজার মধ্যে মাছ চাষ শুরু করা যাবে প্রাথমিক ভাবে। এই প্রসেস কিন্তু ৫-৬ মাস সময় লাগবে। ৫-৬ মাসে মধ্যে ১২০০-১৫০০ গ্রামের মধ্যে মাছের ওজন হয়ে যায়, ভালো লাভ করা সম্ভব।
ভালো জাতের মাছ হলে অতি তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যাবে।তাড়াতাড়ি বিক্রি হবে এমন মাছ চাষ করুন রুই, কাতলা, মাগুর তেলাপিয়া মাছ বেশি লাভজনক।
ঢাকা শহরে ব্যবসার আইডিয়া? অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা: বাংলাদেশে শুরু করার সেরা ব্যবসার আইডিয়া
ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ কি কি?
২ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন
মধু চাষ :
অরজিনিয়াল মধু পাওয়া যেন বড় মুশকিল হয়ে গেলো। গ্রামে সরিষা ফুলের মধু চাষ করলে ভালো প্রোফিট আয় করা সম্ভব। মৌ চাষে জায়গা কম লাগে এবং এটি অল্প বিনিয়োগে করা সম্ভব।মধু বিক্রি জন্য প্রয়োজন অনলাইন,অনলাইনে ভালো সাড়া পাওয়া সম্ভব। যারা মধু লাভার তারা ভালো মধুর খোঁজে থাকে।
প্রাকৃতিক ফুলের কাছে মৌমাছির বাক্স রেখে মধু সংগ্রহ করা হয়।অল্প পুঁজিতে পাইকারি ব্যবসা করার জন্য গ্রামে এটাও একটা ভালো অপশন হতে পারে।
গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার উপায়
গ্রামে পাইকারি ব্যবসা করার অনেক সুবিধা রয়েছে। শহরের তুলনায় এখানে কম খরচে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
- সাশ্রয়ী খরচ
- প্রতিযোগিতা কম
- স্থানীয় চাহিদা
- সহজলভ্য পণ্য
- পরিবহন সুবিধা
কয়েকটি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া
- কৃষিভিত্তিক ব্যবসা
- মৌচাষ বা মধু উৎপাদন
- জৈব সার প্রস্তুত ও বিক্রি
- সবজি ও ফলমূল চাষ
- ডেইরি ফার্ম (গরু বা ছাগলের খামার)
- মাশরুম চাষ
- মাছের খামার (পুকুর বা ট্যাংক)
- হাঁস-মুরগি পালন
- নার্সারি (গাছের চারা বিক্রি)
- চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ
- মুড়ি, চিড়া বা ঘি তৈরির কারখানা
- আচার বা প্যাকেটজাত খাবার উৎপাদন
- তেলের ঘানি (সরিষার তেল তৈরি)
- বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন
- পাটজাত পণ্য তৈরির ব্যবসা
- মাটির জিনিসপত্র তৈরি
- বাঁশ ও বেতের জিনিসপত্র
- তাঁত শিল্প বা কাপড় বুনন
- হাতের কাজের জামা-কাপড় তৈরির কাজ
- ছোট গ্রামীণ মুদি দোকান
- কৃষি সরঞ্জাম ভাড়া দেওয়া
- স্থানীয় ট্যাক্সি বা ভ্যান সেবা
- মোবাইল রিচার্জ ও ইন্টারনেট সেবা
- গ্রামীণ হোটেল বা খাবারের দোকান
- টিউশন বা কোচিং সেন্টার
- সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
- ঔষধি গাছের বাগান
- গ্রামীণ ফার্মেসি
- কুলিং সেন্টার (দুধ বা খাবার সংরক্ষণ)
- সোলার প্যানেল স্থাপন ও বিক্রি
সর্বশেষ,
গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা সম্ভব যদি সঠিক পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সম্পদ ও চাহিদা ব্যবহার করে আপনি খামার, পাইকারি দোকান, অন্যান্য ক্ষুদ্র ব্যবসা চালিয়ে ভালো লাভ করতে পারেন।
সফল হতে চাইলে আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে এবং ব্যবসায় নিয়মিত নজর দিতে হবে। সরকারিভাবে প্রাপ্ত সুযোগগুলো ব্যবহার করুন এবং সময়ের সঙ্গে আপনার ব্যবসা বাড়ান।এই আইডিয়া থেকে একটা ব্যবসা চয়েস করুন, দেখবেন আপনার ব্যবসা সফলভাবে রানিং হচ্ছে।
এই পোস্টটি শেয়ার করুন যদি এটি উপকারী মনে হয়।আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করতে ভুলবেন না।