USAID ( United States Agency for International Development) যার বাংলা হলো যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। আমেরিকা সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গণতন্ত্র ও সুশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক সহায়তা প্রদান করে থাকে। তার জন্য তাদের বিভিন্ন এজেন্সি কাজ করে থাকে তার মধ্যে হলো USAID।
USAID কি? ৮০+ দেশে USAID তাদের মিশন পরিচালনা করে থাকে ১১০ টি ও বেশি দেশে বিভিন্ন কাজে সহোযোগিতা করে থাকে। মূল কথা হলো আমেরিকার গণতন্ত্রের কথা বলে বিভিন্ন দেশে এদের মাধ্যমে মিশন পরিচালনা করে থাকে সহোযোগিতার নামে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলে, গণতন্ত্র রক্ষা, পরিবেশ রক্ষা,শিক্ষা, নারীর ক্ষমতা, মানবাধিকার ও শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে থাকে।
বাংলাদেশে USAID কেন বন্ধ হলো?
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি নির্বাহী আদেশের ফলে বাংলাদেশে USAID-এর অর্থায়নে চলমান প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে USAID এর বাংলাদেশ কার্যালয় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছে যে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থগিত রাখতে হবে। পরবর্তী নির্বাহি আদেশ না আশা পযর্ন্ত কোন প্রকার সহোযোগিতা করা হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হিসেবে নীতিগত পরিবর্তন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করেন পিটার ম্যারোক্কো নামে USAID একজন কর্মকর্তার ভূমিকা এই অর্থায়ন স্থগিতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকায় মূল্যস্ফীতি দিন দিন বাড়ার কারণ বলে মনে হচ্ছে। USAID এর বাজেট কমানো প্রকল্প স্থগিত করার কাজ করেছে বলে মনে হচ্ছে।
এই অর্থায়ন বন্ধের ফলে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুসংবাদ হলো রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রম এই স্থগিতাদেশের বাইরে রাখা হয়েছে। রোহিঙ্গাদেরকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে শুধুমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন অব কাঠামোর সাহায্য করা হবে না।
সর্বশেষ,
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের “আমেরিকা ফার্স্ট” নীতির অংশ হিসেবে সব ধরনের আর্থীক সহযোগিতা বন্ধ করা হয়েছে। তার নীতিমালায় এটাকে অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। হয়তো এই সংস্থাকে নতুন ভাবে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করবেন। আমাদের দেশ বিভিন্ন দেশের সহযোগিতা উপর অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে। বিশেষ বিশেষ কর্মসূচিতে বাধাগ্রস্ত হবে বাংলাদেশে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ , এইচআইভি প্রতিরোধ গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো।
যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, কমেন্টে জানান।আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না! আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করতে ভুলবেন না।