BREAKING:

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ঘরে বসে আয় করুন

বাড়িতে আয় বললে সবাই চাই ইনকাম করার জন্য ঘরে বসে আয় করার মজাই আলাদা সেটা যদি ১৫০০০ -২০,০০০ এর মধ্যে হলে তো আর কোন কথায় নেই।বর্তমানে সবাই ঘরে বসে আয় করতে চায়। কিন্তু সমস্যাটা হলো, অধিকাংশ মানুষ একই রকম কাজ করে থাকে ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউব, ব্লগিং ইত্যাদি। এতে প্রতিযোগিতা বেশি হওয়ায় নতুনদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। আয় করতে গেলেও আয় হয় না তেমন সময় লস হয়।

এই পোস্টে আমরা এমন কিছু ইউনিক আইডিয়া শেয়ার করবো যেগুলোর প্রতিযোগিতা কম, একটু বুদ্ধি খাটিয়ে করলে আপনি ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

এই টাকাটা আয় করা খুব সহজ সামান্যতম পরিশ্রম করলে আয় করা সহজ হয়ে পড়ে।

১. লোকাল SME (Small Business) এর জন্য ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট সার্ভিস

এই টা নিয়ে আপনার কাছে আইডিয়া না থাকতে পারে আপনি ২০-৩০ দিন মতো সময় দিলে এইসব কাজে ভালো পারদর্শী হতে পারবেন। এইসব কাজ করতে আপনি এক্সপার্ট হলে হবে এই কাজে আপনার কম্পিটিশন নেই বললে চলে।

আইডিয়া:

আপনার এলাকায় যেসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা দোকানদার আছে, মিষ্টির দোকান, বিউটি পার্লার, পোশাক ব্যবসায়ী, ইলেকট্রনিক্স শোরুম, মোবাইল দোকান তারা সাধারণত অনলাইন মার্কেটিং ডিজিটাল উপস্থিতি সম্পর্কে কিছুই জানে না।

আপনি তাদেরকে এইসব কাজ সম্পর্কে জানান কি করলে তাদের বিজনেস হবে সেরাদের সেরা এবং বিক্রি বাড়বে পরিচিত বাড়বে এসব নিয়ে তাদের কে জানান। তারা জানতে আগ্রহী হবে কাজ করার জন্য কারণ সবাই চাই তাদের পণ্য সেল আসুক।

আপনি কী করবেন?

  • তাদের জন্য ফেসবুক পেজ খুলে দেবেন
  • Canva দিয়ে পোস্ট ডিজাইন করবেন
  • WhatsApp, Messenger দিয়ে কাস্টমার রেসপন্স করবেন।
  • ছোট বাজেটে ফেসবুক বুস্ট করবেন।

নোট: আপনি তাদের কোম্পানিকে লস করাতে পারবেন না। তারা ১০০ টাকা ইনভেস্ট করলে আপনাকে এই টাকা তুলে দিতে হবে তাহলে ভবিষ্যতে কাজ পাওয়া সম্ভবনা বেড়ে যাবে।

আয় কেমন?

প্রতি দোকানের জন্য আপনি ২০০০–৫০০০ টাকা চার্জ করতে পারেন। মাত্র ৫ জন ক্লায়েন্ট মানেই ১০,০০০+ আয়।

২. স্মার্ট রিসেলিং (পাবলিক ডোমেইন বই, ডিজিটাল পণ্য)

এটা করতে একটু সময়ের ব্যাপার তবে ভালো একটা বিজনেস পরিকল্পনা করতে পারলে আপনি জয়ি হবেন। আপনি প্রথমে একটা ফেসবুক পেইজ তৈরি করবেন এটার নাম হবে রিসেলিং টাইপের। রেগুলার কনটেন্ট তৈরি করুন, বিভিন্ন ধরনের বই সংগ্রহ করে কাস্টমারদেরকে জানান কেন এই বই ভালো হবে, এই বই কাদের পড়া উচিত ইত্যাদি শেয়ার করুন দেখবেন আপনি ভালো সাড়া পাবেন ফেসবুক থেকে।

আইডিয়া:

পাবলিক ডোমেইনের বাংলা ও ইংরেজি বই (যেমন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র বাংলা ক্লাসিক্স), কিংবা পুরনো রান্নার বই স্ক্যান করে ডিজিটাল ফর্মে সাজিয়ে আপনি তা PDF বা ইপাব ফরম্যাটে বিক্রি করতে পারেন।
বিভিন্ন অনলাইন কোর্স ইত্যাদি।

কোথায় বিক্রি করবেন?

  • দারাজ
  • Facebook Page / Group
  • আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট যে

আয় কেমন?

প্রতি বিক্রিতে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত লাভ, আর প্রতি মাসে ২০০টি বিক্রি করলেই ১০,০০০+ আয় করা সম্ভব।

৩. হাইপারলোকাল ডেলিভারি সার্ভিস

এটা একদম ইউনিক আইডিয়া আপনার জন্য। প্রত্যেক দোকানদার সাথে কথা বলে তাদের পণ্য হোম ডেলিভারি করতে রাজি করাণ। মানুষ ব্যস্ততম শহরে বসবাস করে, এই শহরে মানুষ সময় পায় না তাদের বাজার করার জন্য। এই কাজ আপনি করে দিতে পারেন, প্রতিটা ডেলিভারিতে ৩০-৫০ টাকা নিতে পারেন কাজের ধরণ অনুযায়ী। এই কাজ ১০০% ইউনিক আইডিয়া আপনি আপনার এলাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আপনি অন্য পণ্য ছাড়াও নিজের পণ্য সেল করতে পারবেন এই গ্রাহকদের কে আপনি সরাসরি জানতে পারবেন আপনার কাস্টমার কি চাই সেটা আপনি জানতে পারবেন।

আইডিয়া:

আপনার নিজের এলাকায় দোকানগুলোর পণ্যের হোম ডেলিভারি ব্যবস্থা নেই? আপনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সেই কাজ করতে পারেন।
ছোটকাটো সব ধরণের জিনিস ডেলিভারি করতে পারেন।

কীভাবে করবেন?

একটি ফেসবুক পেজ খুলে এলাকার নাম লিখে ব্র্যান্ড তৈরি করুন (যেমন: “বনানী হোম ডেলিভারি সার্ভিস”)

অর্ডার WhatsApp, ফেসবুক মেসেজে নিন

নিজের অন্যের সাহায্যে ডেলিভারি করুন

আয়:

প্রতি ডেলিভারিতে ২০–৩০ টাকা লাভ ধরলেও দিনে ২০টি ডেলিভারিতে ৫০০–৬০০ টাকা, যা মাসে ১৫,০০০+

৪. বাংলা Meme Page” চালিয়ে স্পনসর ইনকাম

মিম দেখতে কে না পছন্দ করে। বিভিন্ন ধরনের মিম তৈরি করে আপনি আয় করতে পারেন। আমরা জানি না মিম কি, মিম কি ভাবে তৈরি করব। Meme তৈরী করতে ভালো কনটেন্ট লাগবে।

আইডিয়া:

নিজের নামে বা নিক নাম দিয়ে একটি বাংলা মিম পেজ চালু করুন। ভিন্নধর্মী হিউমার বা সামাজিক বার্তা ভিত্তিক পোস্ট করুন।

ইনকাম হবে:

  • স্পনসর পোস্ট দিয়ে
  • Affiliate লিংক দিয়ে
  • নিজের ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে

আয়:

প্রথমে ধৈর্য দরকার, তবে ১০K+ ফলোয়ার হলে স্পনসর প্রতি পোস্টে ৫০০–১৫০০ টাকা আয়

৫. ই-বুক ফরম্যাটিং ও কভার ডিজাইন সার্ভিস

এই সার্ভিসটা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন করেন তাদের জন্য। আপনি ডিজাইনার না হলেও এটা করতে পারবেন যদি আপনি ক্যানভা ব্যবহার করতে জানেন তো।ক্যানভা বর্তমানে ডিজাইন জগতে আলোড়ন তৈরি করেছে এই ওয়েবসাইট। আপনি ব্লগার হোন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজারহন আপনার জন্য ক্যানভা ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় জগতে এটা ছাড়া অচল, তবে এটার সেমিলার অনেক ওয়েবসাইট আছে যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন যদি আপনার ভালো লাগে।

মোবাইল দিয়ে ই-বুক কভার ডিজাইন অথবা ফেসবুক পোস্ট ডিজাইন শিখে ভালো মতো আয় করতে পারবেন। জানতে হলে শিখতে হবে, আয় করতে হলে দক্ষ হতে হবে।

আপনার টার্গেট অডিয়েন্স হতে পারে নতুন লেখক, ব্লগার, স্টুডেন্ট যারা নিজেদের লেখা পিডিএফ/ইবুক আকারে সাজাতে চান। তাদেরকে টার্গেট করে আপনি পরিকল্পনা সাজাতে পারেন।

আরও পড়তে পারেন:

বাংলাদেশে গুগল পে (Google Pay Bangladesh): সুবিধা, অসুবিধা ও ব্যবহারবিধি

ঘরে বসেই শুরু করুন: ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

নিজের মোবাইল দিয়েই আয় করুন গুগল অ্যাডসেন্স থেকে

আপনি কী করবেন?

  • লেখা গুছিয়ে সুন্দরভাবে ফরম্যাট করবেন
  • কভার ডিজাইন করবেন Canva-তে
  • PDF বা ePub আকারে তৈরি করে দেবেন
  • Chatgpt সহায়তা নিবেন।

আয়:

প্রতি ইবুক: ৫০০–১৫০০ টাকা
মাসে ১০টি অর্ডার মানেই ১৫,০০০+ আয়

৬. Facebook Page SEO & Bio Optimization সার্ভিস

এই ক্যাটাগরি সোশাল মিডিয়া মার্কেটিং সাথে সম্পর্কিত। যে কেউ চাইলে ফেসবুক মার্কেটিং করতে পারে না এগুলো হয় অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। আপনি যদি এসব বিষয়ে এক্সপার্ট হন তাহলে আপনি এই ফিল্ডে রাজত্ব করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এসব কাজের চাহিদা বেশি থাকে।

যারা নতুন ব্যবসা করবে তাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ থাকাটা অবশ্যক এই অবশ্যকে কাজে লাগিয়ে আপার আয়টা করে নিতে পারেন। ফেসবুক বায়ো, ফেসবুক নাম, লোগো, ডিসকিপশন ভালো মতো সাজানো জানতে হবে। তাহলে আপনি এই জগতে এক্সপার্ট হতে পারবেন।

আইডিয়া:

অনেক ব্যবসায়ী জানেন না তাদের ফেসবুক পেজে কীভাবে বায়ো লিখলে কাস্টমার খুঁজে পাবে। আপনি সেই বায়ো, পেজ নাম, ইউজারনেম, ক্যাটাগরি সব সাজিয়ে দিতে পারেন।

আয়:

প্রতি পেজ সেটআপ ফি: ৫০০–১০০০ টাকা
মাসে ২০টি অর্ডার মানেই ১০,০০০–২০,০০০ টাকা আয়

৭. পুরনো ফোন/ল্যাপটপ অনলাইন রিসেল সার্ভিস (Middleman হিসেবে)

ফোন বিক্রি ব্যবসা দারুণ যদি সবই ভালো হয়।সবারই এন্ডোইড ফোন রয়েছে , একটা ফোন বেশিদিন ব্যবহার করতে করতে আর ভালো লাগেনা তাই একচেঞ্জ করতে হয় বা বিক্রি করতে হতে পারে। এমন একটা আপনার এলেকা ভিত্তিক বা ওয়ার্ড ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপ ও ফেসবুক পেইজ খুলে এই ব্যবসাটা করতে পারবেন। শুধু মোবাইল ফোন না, কম্পিউটার, ল্যাপটপ এসব জিনিস ক্রয় করে বিক্রি করতে পারবেন।

আইডিয়া:

আপনি এমন একজন হতে পারেন, যিনি ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে মধ্যস্থতা করেন পুরনো মোবাইল, ল্যাপটপ কেনাবেচায়। শুধু Facebook/WhatsApp দিয়ে কাজ করতে পারবেন। এটা করতে আপনাকে সময় দিয়ে রিসার্চ করে ফেসবুক পেইজে ফলোয়ার বাড়াতে হবে তাহলে এই ব্যবসা রমারম হবে।

আয়:

প্রতি ডিভাইস বিক্রিতে কমিশন ২০০–৫০০ টাকা
মাসে ৫০টি লেনদেনে ১০,০০০–২৫,০০০ টাকা আয়

সর্বশেষ,

ঘরে বসে আয় মানেই শুধু ফ্রিল্যান্সিং বা ইউটিউব নয় একটু ইউনিক ভাবনায় পথ খুঁজে নিলে আপনি অল্প প্রতিযোগিতায় ভালো ইনকাম শুরু করতে পারেন। আপনি যদি এলাকার সমস্যাকে নিজের আয়ের উৎসে পরিণত করতে পারেন, তবে সেখানেই আপনার বিজয়। সমস্যা যেখানে সমাধান ও সেখানে এটা করতে পারলে আয় হবে বেশি।

আজ থেকেই ভাবুন, “আমি কী ইউনিক কিছু দিতে পারি, যা অন্যরা দিচ্ছে না? উত্তর খুঁজে পেলেই শুরু করে দিন। সফলতা ধরা দেবেই।

Post A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Leave a Reply