ঘরে বসেই শুরু করুন: ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে চাকরির বাজার অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও সীমিত। হাজার হাজার শিক্ষিত তরুণ তরুণী প্রতিদিন নতুন করে চাকরির জন্য চেষ্টা করলেও কাঙ্ক্ষিত সুযোগ মিলছে না। সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংখ্যা সীমিত হওয়ায় সবাইকে চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তাই শুধু চাকরির পেছনে না ছুটে এখন থেকেই বিকল্প চিন্তা করা জরুরি।
নিজে যদি উদ্দোক্তা হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করলে সেখানে স্বাধীনতা যেমন থাকে তেমনি নিজের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়া সম্ভব হয়। ব্যবসা শুরু না করলে ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আরও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে মাত্র ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কীভাবে ব্যবসা শুরু করবো?এই প্রশ্নের উত্তর এই ব্লগ পোস্ট তুলে ধরা হলো। আমাদের বুঝতে হবে ব্যবসা মানেই বিশাল পুঁজি নয় বরং সঠিক পরিকল্পনা, সময়, শ্রম ও স্থায়ীত্বই হলো ব্যবসার মূল।
ঘরে বসে ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৫০ হাজার টাকায় অনেক সম্ভাবনাময় ছোট ব্যবসা শুরু করা সম্ভব বিশেষ করে ঘরে বসেই।
১. হোম কিচেন:
বাংলাদেশে “হোম কিচেন” ধারণাটি এখনও অনেকের কাছে নতুন এটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমাদের দেশে। এতদিন আমরা শুধু রেস্টুরেন্টের খাবারেই অভ্যস্ত ছিলাম তবে পেক্ষাগ্রহ এখন অনেকেই বাসার রান্না খুঁজছেন যা স্বাস্থ্যকর ঘরের স্বাদযুক্ত নির্ভরযোগ্য বিশেষত দুপুরের খাবারের জন্য।
আপনি যদি ভালো রান্না জানেন প্যাশন থাকে মানুষকে নিজের হাতের খাবার খাওয়ানোর তাহলে আপনার নিজের রান্নাঘরই হতে পারে আপনার ব্যবসার শুরু।
- হোম কিচেন এখন শুধু ব্যবসা নয় আত্মনির্ভরশীলতা ও সৃজনশীলতা প্রকাশের এক অসাধারণ পথ।
- প্রয়োজন: রান্নার কিছু সরঞ্জাম, প্যাকেট/বক্স, হোয়াটসঅ্যাপ/ফেসবুক পেজ।
- পুঁজি ব্যয়: ৩০-৫০ হাজার টাকায় প্রাথমিক উপকরণ, বাকিটা মার্কেটিংয়ে ব্যয় করুন।
- লাভ: প্রতিদিন ২০-৩০টি অর্ডারে মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় সম্ভব।
২. হোম বেকারি ব্যবসা
বর্তমানে বেকিং কেবলমাত্র একটি শখ নয় একটি লাভজনক ব্যবসায়িক ক্ষেত্র। এটাও হোম কিচেন এর মতো শুরু করতে পারবেন।
বড় কোনো দোকান বা রেস্টুরেন্ট না খুলেও ছোট আকারে অর্ডার ভিত্তিক কেক, বিস্কুট, কাপকেক তৈরি করে বিক্রি করা যায়।
বিশেষ দিনে চাহিদা বেশি থাকে জন্মদিন, বিয়ের বার্ষিকী, বাচ্চাদের অনুষ্ঠান, অফিস পার্টি সব জায়গায় কেক, কাপকেক, মিষ্টি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ।
প্যাকেজিং ও ব্র্যান্ডিং:
হোম বেকার হলেও সুন্দর প্যাকেজিং পণ্যের নাম ও লোগো আপনাকে আলাদা করে তুলবে।
ফুড সেফটি ও লাইসেন্স:
আপনার পণ্য যদি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাহলে সরকারি অনুমোদন ও ফুড সেফটি সনদ নেওয়া ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।
৩. অনলাইন পোশাক বিক্রি
ফেসবুক পেজ লাইভের মাধ্যমে পোশাক বিক্রি জনপ্রিয় লাভজনক ব্যবসায় রূপ নিয়েছে। নতুনদের জন্য বড় অপরচুনিটি যাদের শুরুতে বড় পুঁজি নেই। তারা ঘরে বসেই সহজে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। লাইভের মাধ্যমে গ্রাহক সরাসরি পণ্য দেখতে ও প্রশ্ন করতে পারে ফলে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়।
শাড়ি, থ্রি-পিস, কুর্তি, বাচ্চাদের জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন ধরণের পোশাকের চাহিদা রয়েছে। একটি পেশাদার ফেসবুক পেজ, ভালো মোবাইল, ইন্টারনেট, আলো ও অর্ডার নেওয়ার সঠিক ব্যবস্থা থাকলে সহজেই এই ব্যবসায় সফল হওয়া সম্ভব।
ছোট পরিসর থেকে শুরু করে প্রতিদিন নিয়মিত লাইভ ও গ্রাহকের ভালো সেবা দিলে মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব।
- পণ্য: থ্রি-পিস, কুর্তি, শিশুদের জামা, ছেলেদের টি-শার্ট।
- পাইকারি উৎস: চাঁদনী চক, বেনারসি পল্লী, নিউ মার্কেট।
- লাভ: প্রতি আইটেমে ১০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত প্রফিট।
৪. কসমেটিকস ও বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি
এখন অনেকেই ঘরে বসেই কসমেটিকস ও বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি করে ভালো আয় করছেন। ফেসবুক পেজ খুলে লাইভে এসে পণ্য দেখিয়ে বিক্রি করা খুবই সহজ । এটা অনেকটা কাপড় বিক্রি মতো তবে ক্যাটাগরি আইটেম ভিন্নতা আছে।
মেয়েদের স্কিন কেয়ার, মেকআপ, চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য নানা ধরনের পণ্যের চাহিদা প্রতিদিনই বাড়ছে। আপনি চাইলে ফেইসওয়াশ, লিপস্টিক, সিরাম, ফাউন্ডেশন, চুলের তেলসহ নানা দরকারি পণ্য বিক্রি শুরু করতে পারেন।
কম টাকায় শুরু করা যায়, বড় দোকান বা বেশি খরচ লাগে না। ঘরে বসেই নিজের মতো কাজ করে মাসে ভালো ইনকাম করা সম্ভব।
- হট পণ্য: মেকআপ কিট, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, পারফিউম।
- বিশ্বাসযোগ্যতা: অরিজিনাল পণ্য নিশ্চিত করলে ক্রেতা বারবার আসবে।
৫. ফ্রিল্যান্সিং (Skill-Based সেবা)
আপনার যদি ডিজাইন, আর্টিকেল রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে কিছু কাজ জানার মতো দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব।
ফ্রিল্যান্সিং করে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায় কাজ শেষ করে টাকা পাওয়া যায়। ফাইভার, আপওয়ার্ক, এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেখানে হাজার হাজার মানুষ কাজ নিচ্ছে।শুরুতে ছোট কাজ দিয়ে শুরু করুন।
স্কিল:
- লোগো ডিজাইন।
- আর্টিকেল লিখে।
- ফেসবুক বা গুগলে মার্কেটিং।
- ওয়েবসাইটের এসইও।
৬. শুটকি, ঘি, মসলা অনলাইন বিক্রি:
আপনি যদি গ্রামের বা উপকূলীয় এলাকার খাঁটি ও প্রাকৃতিক পণ্য সংগ্রহ কর অনলাইনে বিক্রি করে ভালো আয় করা সম্ভব।
- যেমন: ঘি, মধু, নারিকেল তেল, চাল, শুকনা মাছ (শুটকি), গুঁড়া মরিচ, হাতের তৈরি খাবার বা হস্তশিল্প এসব পণ্যের চাহিদা শহরে অনেক বেশি।
- অনলাইন বিক্রি:
হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা ছোট একটি ওয়েবসাইট খুলে অর্ডার নিতে পারেন। ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিন, পণ্যের গুণাগুণ ও দাম লিখে ।
৭. পণ্য রি-সেলিং ব্যবসা
ফেসবুক স্ক্রল করলে প্রায়ই দেখা যায় কেউ জুতা, ব্যাগ বা অন্য কিছু বিক্রি করছে। এরা চীন থেকে পাইকারি কিনে এনে বাজার থেকে কম দামে পণ্য ফেসবুক পেজে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করছে।
আপনিও চাইলে Alibaba বা বাংলাদেশের যেকোনো পাইকারি মার্কেট (যেমন: চাঁদনী চক, ইসলামপুর, নিউমার্কেট) থেকে পণ্য কিনে নিজের নামে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিন, লাইভে আসুন, অর্ডার নিন। আস্তে আস্তে একটা ছোট ব্র্যান্ড গড়ে উঠবে।
পণ্য: চশমা, জুতা, ব্যাগ, গিফট আইটেম বাচ্চাদের খেলনা ইত্যাদি।
৮. গিফট বক্স কাস্টম সার্ভিস
প্রিয়জনকে উপহার দিতে চাই সবাই জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী কিংবা ভালোবাসা দিবসে। এইসব দিনে মানুষ চায় প্রিয়জনকে একটু ভিন্নভাবে শুভেচ্ছা জানাতে। আপনি চাইলে এসব বিশেষ দিনের জন্য কাস্টমাইজড গিফট বক্স তৈরি করতে পারেন।
এই গিফট বক্সে যা থাকবে তা পুরোপুরি গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী। যেমন: চকলেট, ছবি, শুভেচ্ছা বার্তা, ছোট উপহার, মোমবাতি, পারফিউম বা হাতের লেখা কার্ড।
নিজের তৈরি ডিজাইন, প্যাকেজিং ও ভালো সার্ভিস দিয়ে সহজেই ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে অর্ডার নিতে পারেন।
খুব কম খরচে ঘরে বসে শুরু করা যায় এবং লাভও ভালো হয়। মানুষ এখন সাধারণ উপহারের চেয়ে ভাবনা-ভরা গিফট পছন্দ করে।
প্রয়োজন: গুডি আইটেম, সুন্দর প্যাকেজিং, থিম অনুযায়ী সাজানো।
আরও পড়তে পারেন:
ঢাকা শহরে ব্যবসার আইডিয়া? অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা: বাংলাদেশে শুরু করার সেরা ব্যবসার আইডিয়া
গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার দারুণ উপায়
ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ কি কি?
আয় কাকে বলে? আপনার আয় বাড়ান সহজে
৯. ই-কমার্স প্রোডাক্ট প্যাকেজিং সার্ভিস
অনেক ছোট অনলাইন উদ্যোক্তা প্যাকেজিং নিয়ে সমস্যায় পড়েন। তাদের ব্যান্ডিং কেমন করে করতে হবে, কোথায় এই প্রোডাক্ট প্যাকেজিং করবে। কি ধরনের ডিজাইন লাগবে সব সার্ভিস আপনি নিজেই দিতে পারেন।
পুঁজি: প্যাকেট, টেপ, কুরিয়ার ব্যাগ, স্কচ টেপ।
১০. ইউটিউব কনটেন্ট তৈরি
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল কন্টেন্ট তৈরি করে আয় করা। কন্টেন্ট ইউনিক হলে মানুষে কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করে। ইউটিউব নির্ভর করে পুরো কনটেন্ট এর উপর আপনার কন্টেন্ট যদি ভালো না হয় ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন না।
যদি আপনি ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন, আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করতে পারেন।
কনটেন্ট আইডিয়া: রান্না, রিভিউ, টিউটোরিয়াল, গল্প, ট্রাবেল ইত্যাদি।
১১. মিনি ফাস্টফুড দোকান
কুলিং কর্নার দিন বা দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বাড়ির পাশে স্কুলের পাশে বা মাদ্রাসা পাশে যেখানে মানুষের যাতায়াত বেশি সেখানে একটা কুলিং কর্নার দরকার।
আমরা কোথাও ঘুরতে গেলে ফাস্ট ফুড দোকান বেশি দেখতে পাই যেমন কক্সবাজার, সাজেক, হিমছড়ি, ইনানী ইত্যাদি। ব্যবসা শুরু করতে বেশি টাকা প্রয়োজন হয় না ৫০০০০ টাকার ভিতরে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
খরচ: ফ্রাইং প্যান, টেবিল, প্লেট/প্যাকেট, উপকরণ।
১২. চা-নাস্তা দোকান
আমরা কক্সবাজার ঘুরতে গেলে দেখি আমাদের আশেপাশে অনেকে চা বিক্রি করতেছে পানি বিক্রি করতেছে বা বিভিন্ন ধরনের আচার বিক্রি করতেছে।
- এই ব্যবসা অল্প খরচে করা সম্ভব, যদি কক্সবাজার করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় পান, সিগারেট।
- অল্প খরচে এই ব্যবসা চালানো সম্ভব। দৈনিক আপনার হাজার বারোশো টাকা ইনকাম হবে।
১৩. পোল্ট্রি ফার্ম (মুরগি/কোয়েল)
ব্যবসা করতে গেলে মূলধন লাগে ছোট হোক বা বড় মূলধন না থাকলে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। আপনার কাছে যদি ছোট-বড় মূলধন থাকে তাহলে পোল্ট্রতে ইনভেস্ট করতে পারেন হাজার পঞ্চাশ টাকা দিয়ে শুরু করে লাভবান হতে পারবেন ৬ মাস মতো সময় দিয়।
শুরু করার আগে যদি পর্যাপ্ত আকারের নলেজ না থাকলে এই পোল্ট্রি ব্যবসার নামানো উচিত নয়। যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কোথায় কি পাওয়া যায় কখন কি করতে হবে এই ব্যবসা আমার জন্য ভালো হবে রিসার্স করে নামা উচিত।
১৪. ছোট মুদি দোকান
মুদি দোকান ব্যবসা হল এলাকাভিত্তিক ব্যবসা। আপনার এলাকায় যদি ভালো সুযোগ থাকে তাহলে মুদির দোকান আপনার জন্য।
লোকেশন ভালো হলে ছোট পরিসরে চিনি, চাল, সাবান, নুডলস ইত্যাদি বিক্রি করুন।
১৫. বিকাশ/নগদ এজেন্ট পয়েন্ট
লোকাল এলাকায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে কমিশন ইনকাম করুন।এই ব্যবসা খুবই বড় বিকাশ নগদ এজেন্সি নিতে হলে আপনার থেকে ২ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন আছে তাহলে আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন। ব্যবসা সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে ডলার কেনাবেচার করা বাইনান্স থেকে।
২ লক্ষ ইনভেস্টমেন্ট থাকলে তাহলে আপনি অতি সহজে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাইনান্স থেকে কিভাবে ডলার কেনাবেচা করে ইনকাম করবেন তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। পরবর্তী পোস্ট আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব বাইনান্স থেকে ইনকাম করবেন বিকাশ রকেট এর মাধ্যমে।
১৬. ড্রপশিপিং (লোকাল/ইন্টারন্যাশনাল)
আপনার নিজস্ব পণ্য না থাকলেও এখন অনলাইনে ব্যবসা করা সম্ভব। এটা হলো “ড্রপশিপিং” বা স্টক ছাড়া পণ্য বিক্রির পদ্ধতি।
আপনি অন্য কারো প্রোডাক্ট অনলাইনে (যেমন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ওয়েবসাইট) তুলে ধরবেন। কেউ অর্ডার করেছে সেই পণ্য পেমেন্ট অগ্রিম নিয়ে ওই বায়ারের ইনফরমেশন নিয়ে সরাসরি সাপ্লায়ার কে অর্ডার দিবেন সাপ্লাই ক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দিবে।
আপনি থাকবেন মাঝখানে – অর্ডার সংগ্রহ করে প্রফিট রেখে সাপ্লায়ারকে দেবেন। ঝামেলা নেই, বিনিয়োগ কম, লাভের সুযোগ বেশি।
১৭. গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিস
অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। বাংলাদেশে যত পরিমাণ গ্রাফিক্স ডিজাইনার আছে আমার মনে হয় সারা বিশ্বের এত ডিজাইনার নাই বাংলাদেশে বেশি ভাগ ফ্রিল্যান্সিং শুরু হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন দিয়ে।
ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ডিজাইন দেখি এগুলোর তৈরি করার জন্য একজন ভালো মানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন।
সামাজিক মাধ্যম, পেজ, ইউটিউবারদের জন্য ডিজাইন বানিয়ে ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করতে পারেন নিজের জন্য।
১৮. ফটোকপি ও প্রিন্ট সার্ভিস
এখন আশেপাশে অলিগলিতে স্কুল বেড়ে যাচ্ছে তাদের প্রতিনিয়ত ফটোকপি ও প্রিন্ট সার্ভিস প্রয়োজন হয়। এই ব্যবসা শুরু করতে লাগবে কম্পিউটার, প্রিন্টার ভালো স্কিল থাকলে এই ব্যবসা আপনার জন্য।
ছাত্র অধ্যুষিত এলাকায় কম্পিউটার, প্রিন্ট, ফটোকপি সেবা দিন আর ইনকাম করুন। প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করা একদম সহজ।
১৯. বাচ্চাদের খেলনা বিক্রি
কম পুঁজি দিয়ে চায়না থেকে খেলনা এনে ছোট একটা খেলনা দোকান দেওয়া যায়। অনলাইনের ও বিক্রি করতে পারবেন। বাচ্চারা খাবার দিন বা না দিন তারা খেলনাতে বেশি আকষ্মিক হয়। খেলনা মার্কেটের বেশি চাহিদা আমাদের দেশে, চাহিদা থাকার সত্বেও এর জন্য ভালো একটা মার্কেট পাওয়া যায় না।
২০. এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো অনলাইন ইনকামের পদ্ধতি, যেখানে আপনি অন্যের পণ্য প্রচার করে সেখন থেকে একটা কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং নিজস্ব পণ্য ছাড়াই আয় করা যায়।
কাজের ধাপ: এফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করা প্রোমোশন + বিক্রি = কমিশন।
ব্লগ, ইউটিউব, ফেসবুক, ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে প্রমোট করে কমিশন সংগ্রহ করা যাবে।
জনপ্রিয় নেটওয়ার্ক: Amazon, ClickBank, Daraz, CJ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ, দারাজ, বিডিশপ ইত্যাদি।
২১. অনলাইন কোচিং
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। করোনার সময় আমরা অনলাইন কোচিং বেশি জনপ্রিয়তা পাই। ঐই ধারাবাহিকতায় এখনো এই কোচিং জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ১০ মিনিট স্কুল লানিং প্লাটফর্ম বেশি জনপ্রিয় পাই। আপনার একাডেমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর ভিত্তিতে আপনি ইউটিউব কোচিং চ্যানেল শুরু করে আয় করতে পারেন।
২২. সবজি চাষ
কৃষি প্রদান দেশ বাংলাদেশ। সবজি চাষ হতে পারে আয়ের একটা ভালো মাধ্যম। আপনি কৃষি কাজ না জানলে ও কৃষক থেকে তাদের ফসল ক্রয় করে সেটা বাজারে সাপ্লাই দিতে পারেন। এতে আপনি একটা ভালো এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
মনে করুন আপনি একজন কচু চাষি থেকে কেজিতে ২০ টাকা করে কচু ক্রয় করে সেটা বাজারে ২৫ টাকা করে সরবরাহ করলে । আপনি কেজিতে ২ টাকা লাভবান হবেন, ৩ টাকা গাড়িভাড়া ও অন্যন্য খরচ বাকি ২ টাকা আপনার। প্রতিদিন ১০০০ হাজার কেজি সরবরাহ করতে পারেন তাহলে আপনি ২০০০ টাকা পযন্ত লাভবান হবেন প্রতিদিন।
২৩. কনসালটেন্ট
আপনার যদি কোন ক্যাটাগরিতে বেশি অভিজ্ঞতা থাকলো আপনি কনসালটেন্টে বিজনেস শুরু করতে পারেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আইডিয়া আছে তাহলে এইটা আপনার জন্য।
আপনি মার্কেটিং করে বিভিন্ন কোম্পানির অফিসে গিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে অর্ডার নিয়ে এসব সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন। যেমন : গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফেসবুকে প্রমোশন বিজ্ঞাপন ইউটিউবে শর্ট ভিডিও ইত্যাদি।
২৪। ব্লগিং
ব্লগিং বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম ai চলে আসার কারণে ব্লগিং এর ডিমান্ড কমে যাচ্ছে। আসলে এই ধারণাটা ভুল, গুগল যত দিন থাকবে ততদিন ব্লগিং জীবিত থাকবে।
ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি টেক্সট এবং ছবির মাধ্যমে শেয়ার করে গুগল থেকে টাকা আয় করার একটা উপযুক্ত মাধ্যম।
২৫। গুগল এডসেন্স
ব্লগিং করলে আপনাকে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে হবে কারণ গুগল এর মাধ্যমে আপনি আয় করবেন, গুগল তাদের ৫১% রেভেনিউ শিয়ার করে ব্লগারদের সাথে। শুধু ব্লগার না ইউটিউবার ও এখান থেকে ইনকাম করে গুগল বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে।
সকল কনটেন্ট মেকার গুগল এডসেন্স ব্যবহার করে থাকে। অনলাইন আয়ের জনপ্রিয় মাধ্যমে হলো গুগল এডসেন্স, গুগল টাকা ইনকাম করে তাদের পার্টানার প্রোগ্রামের মাধ্যমে। গুগল নিজেই টাকা ইনকাম করে না তারা কনটেন্ট মেকার সাথে এই রেভনিউ শেয়ার করে থাকে।
সর্বশেষ,
এখান থেকে আপনি একটা চয়েস করে শুরু করতে পারেন।টাকা আয় করা সহজ বর্তমানে আমাদের রিসোর্স না থাকার কারণে আমরা আয় করতে পারি না। আমাদের মধ্যে কাজ করে লজ্জা এই লজ্জার জন্য আমরা কিছু করতে পারি না। এখানে বেশি কিছু আয়ের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে এখান থেকে একটা চয়েস করে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন।
এই পোস্টটি শেয়ার করুন যদি এটি উপকারী মনে হয়।আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করতে ভুলবেন না।