BREAKING:

বাংলাদেশে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (নতুনদের জন্য)

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

সময় বদলেছে, মানুষের অবস্থান ও পরিবর্তন হয়েছে আজকের ডিজিটাল যুগে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুব একটা কঠিন কাজ নয়। অনলাইন, অফলাইনের নানা আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কেউ মাসে ৫০ হাজার টাকা মতো আয় করতে পারে। এই টাকা আয় করতে আপনাকে মাস্টার ডিগ্রি প্রয়োজন নাই ঘে বসেই এখনই শুরু করতে পারেন।

আয় করার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা আর কঠোর পরিশ্রম। পরিশ্রম যত করবেন আয় করাটা ততই সহজ হ’য়ে যাবে। সঠিক পরিকল্পনা না থাকলে আয় কোন ভাবে হবে না।

এই ব্লগ পোস্টে আমরা অনলাইন ও অফলাইনে কি করে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যায় এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
আমাদের আলোচনার বিষয় হলো: কি রকম স্কিল লাগবে, সময় কত টুকু লাগবে, কি রকম পরিশ্রম প্রয়োজন, কত টাকা ইনভেস্ট থাকলে এই টাকা আয় করা সম্ভব, এই টাকা আয় করতে শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন প্রয়োজন ইত্যাদি।

চলুন ধাপে ধাপে জেনে নেই কিভাবে আপনি শুরু করতে পারেন। এই গাইড সম্পন্ন নতুনভাবে তৈরি নতুনদের জন্য যাতে বুঝতে পারে আয় করা কতটা সহজ।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় ( অনলাইনে)

আমরা আগেই আলোচনা করেছি অনলাইন, অফলাইনে বাস্তব সম্মত আয় করার বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করবো।

১. ফ্রিল্যান্সিং

বাংলাদেশে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকার বেশি আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন কে বুঝে থাকি। আসলে ফ্রিল্যান্সিং জগত টা অনেক বড় আমরা কিছু ক্যাটাগরিতে সীমাবদ্ধ তাই অন্যন্য ক্যাটাগরিতে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করিনা। ফেসবুকে ইউটিউব দেখে থাকি অমুক ভাই লোগো ডিজাইন করে প্রতিমাসে ২ লক্ষ+ টাকা আয় করতেছে, আবার অন্য আরেক ভাই পোস্টে দেখি, সে টিশার্ট ডিজাইন করে মাসে ১ লক্ষ+ আয় করতেছে। এদের গল্প থেকে আমরা হুট করে ডিসিশনস নিয়ে ফেলি এই কাজ গুলো আমরা করবো। আপনি কি জানেন এই সব কাজে কত রকম কম্পিটিশন আছে। নিচের ছবিটা দেখুন,

logo design fiverr
logo design fiverr

ফাইবারে সার্চ করলাম “Logo Design” ফাইবারে সার্চ করলাম “Logo Design” প্রায় ২ লক্ষ+ সার্চ আসছে এতোগুলো ফাইবার লোগো ডিজাইন নিয়ে সার্ভিস আছে। আপনার কি মনে হয় আপনি নতুন অবস্থায় এই জায়গা ধরে রাখতে পারবেন অবশ্যই না। যারা টপে আছে তাদেরকে টপকে আপনি আসতে পারবেন সেটা হলো আপনার ভুল ধারণা।

আপনি এই পজিশনে আসতে হলে আপনাকে প্রায় ১০ বছর + অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হতে হবে শুধু লোগো ডিজাইন নিয়ে। তাহলে আপনি এদেরকে টপকে যেতে পারবেন। আপনার তখন আয় হবে ৫ লক্ষ টাকা +

fiverr logo design Order
fiverr logo design Order

একটা গিগ অপেন করলাম ওই ব্যাক্তির অর্ডার আছে ৪৩+ প্রতি অর্ডার যদি ৪০ ডলার করে হিসাব করলে ১৭০০+ ডলার অর্ডার আছে ওর কাছে এগুলো মাসিক অর্ডার না, এগুলো হলো সপ্তাহের অর্ডার।

আপনি এইবার ভাবুন এই গিগকে আপনি ফেলতে পারবেন প্রথম পেইজ থেকে অবশ্যই পারবেন না। আপনি যদি নতুন শুরু করতেছেন তাহলে আপনি অমুক ভাই এতো টাকা আয় করেছে হ্যান ত্যান না করে একটা ভালো স্কিল তৈরী করে নিন। যে কাজ জানলে আপনাকে ফাইবারে কাজ করতে হবে না আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।

কয়েকদিন আগে একটা লিংডিনে জব পোস্ট দেখলাম সেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজারের জন্য কিছু স্কিল এবং রিকোয়ারম্যান্ট দিয়েছে এগুলোতে আপনি দক্ষ হয়ে নিজেকে এক্সপার্ট করতে পারেন।

job reequirments
job requirements

হাতে ৩-৪ মাস সময় নিয়ে এই স্কিল গুলো শিখুন প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন।

কোন কাজ শিখতে হবে?

  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • SEO
  • Local SEO
  • Video SEO
  • Search Engine Marketing (SEM)
  • Paid Social Media
  • Social CommerceMarketing Advice
  • Chatgpt
  • Google SEM
  • Video marketing
  • Instagram Marketing
  • Marketing Strategy
  • Ai-powered ad bidding and automation ইত্যাদি।

আরও অনেক ক্যাটাগরি আছে আপনি এখান থেকে একটি ক্যাটাগরি ভালো মতো শিখে কাজে লেগে পড়ুন। দেখবেন সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

কোথায় কাজ পাওয়া যায়?

  • Fiverr
  • Upwork
  • Freelancer
  • PeoplePerHour
  • LinkedIn
  • Facebook group
  • Local market

একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার মাসে সহজেই ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন।এই স্কিল ভালো করে শিখুন দেখবেন সফলতা আপনার কাছে চলে আসবে।

আরও পড়তে পারেন:

ঘরে বসেই শুরু করুন: ৫০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

নিজের মোবাইল দিয়েই আয় করুন গুগল অ্যাডসেন্স থেকে

ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০-২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়:চাকরি ছাড়াই মাসে ৩০,০০০ টাকা

২. ব্লগিং ও গুগল অ্যাডসেন্স

Blog লিখে আয় এটা সবচেয়ে মজার আয়। যারা লেখালেখি পছন্দ করেন তাদের জন্য ব্লগিং। আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন, কোন বিষয়ে ডিটেইলস জানাতে চান, আপনার মনের ভাব প্রকাশ করতে চান তাহলে শুরু করতে পারেন ব্লগিং। ব্লগিং করতে রিসোর্স লাগে কি ধরনের ব্লগিং করবেন, কোন বিষয়ে আপনি অভিজ্ঞ এটার উপর ভিত্তি করে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারেন।

আপনি এই কনটেন্ট টা পড়তেছেন এটা একটা ব্লগিং কনটেন্ট। আপনি যতগুলো কনটেন্ট পাবেন অনলাইনে সবই ব্লগ বলা হয়। আপনি চাইলে পড়তে পারেন বা লিখতে ও পারেন। একটা ব্লগ ওয়েবসাইট কে গুগল এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজ করে আয় করতে পারেন।

যদি আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করেন (যেমন uddin.com.bd) নিয়মিত তথ্যবহুল ব্লগ পোস্ট লিখেন, তাহলে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

গুগল এডসেন্স কিন্তু অনেক বড় বিজ্ঞাপন সংস্থা। গুগল আপনার কনটেন্ট ওপর ভিত্তিতে ভালো বিজ্ঞাপন দেখায় আপনার ভিজিটরদের।

uddin home page
uddin home page

ডোমেইন আর হোস্টিং নিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার প্রথম ব্লগ সাইট।ডোমেইন নাম কি? আপনার মনে প্রশ্ন ডোমেইন কি ডোমেইন হলো একটা নাম, আমরা uddin নাম শুনেছি এটা আমার ওয়েবসাইট এর নাম, এই ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য একটা জায়গা প্রয়োজন হয় এটাকে আমরা হোস্টিং বলে থাকি।

আমার ওয়েবসাইট এর লেখা, ছবি এগুলো পোস্ট করার জন্য কিছু জায়গা প্রয়োজন হয় এগুলো কে হোস্টিং বলা হয়।

ডোমেইন হলো আপনার কোম্পানির, হোস্টিং হলো আপনার কনটেন্ট হোস্ট করার জায়গা। ডোমেইন হোস্টিং ভালো কোম্পানি থেকে নিলে আপনার ওয়েবসাইট এর স্পিড দূত হবে।এতে ভিজিটর কাছে ওয়েবসাইট এর গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

আমরা সবসময় সাজেশন করে থাকি Namechep , নেমচীপ আন্তজার্তিক হোস্টিং কোম্পানি এটাতে কিনতে গেলে ডলার লাগবে। আপনার কাছে ডলার কারেন্সি না থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করতে সাহায্য করবো ডলার দিয়ে।

লোকাল কোম্পানি চাইতে নেমচীপের হোস্টিং অনেক ভালো আপটাইম, সার্ভিস সব দিক দিয়ে। ওয়েবসাইট তৈরি করলে হবে না, ওয়েবসাইট এর লুক ডিজাইন সব কিছু ঠিক থাকতে হবে তাহলে আপনার ওয়েবসাইট গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

কিভাবে শুরু করবেন?

  1. একটি ডোমেইন নাম ও হোস্টিং কিনুন।
  2. আপনার পছন্দের একটি টপিক (যেমন ব্যবসার আইডিয়া, অনলাইন আয়, টেক রিভিউ) ইত্যাদি।
  3. নিয়মিত SEO-ফ্রেন্ডলি পোস্ট লিখুন।
  4. ওয়েবসাইটে গুগল অ্যাডসেন্স Approval নিয়ে নিন।

যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে গড়ে ১ লাখ ভিজিটর আসে, তাহলে বাংলাদেশি ভিজিটর থেকেও আপনি ৫০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পারবেন।

৩. ইউটিউব থেকে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়

ভিডিও কনটেন্টের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এইটি ব্লগের মতই তবে কিছুটা ভিন্ন আছে সেটা হলো ভিডিও। ব্লগিং আপনারা শুধু টেক্সট আর ইমেজ দিয়ে তৈরি করতে পারবেন।

এখানে অডিও,ভিডিও এবং ছবির মিক্সারে তৈরি হয় একটা ভডিও। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে (যেমন ফুড ভ্লগ, টেক টিউটোরিয়াল, লাইফস্টাইল বা এডুকেশনাল ভিডিও) চ্যানেল চালু করেন, ভিউ ও সাবস্ক্রাইবার বাড়লে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল
মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল

ইউটিউব ও গুগল এডসেন্স থেকে আয় করে থাকে। শুধু গুগল এডসেন্স না, স্পন্সর পোস্ট, এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন।

কি করতে হবে?

  • সপ্তাহে অন্তত ৩-৪টি ভিডিও আপলোড করুন।
  • ভিডিওতে SEO টাইটেল, ডেসক্রিপশন ও ট্যাগ ব্যবহার করুন।
  • ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে ভিউ বাড়ান।
  • ভিডিও তৈরী জন্য লাগবে একটা মোবাইল ফোন।

৬ মাস হতে নিয়ে কাজে নেমে পড়ুন দেখবেন সফলতা আপনার হাতে এসে ধরা দিবে।
প্রথম কয়েক মাসে হয়তো ইনকাম হবে না, কিন্তু ভিউ বাড়লে মাসে ৫০ হাজার বা তার বেশি আয় করা সম্ভব।

৪. অনলাইন ব্যবসা (ই-কমার্স)

বাংলাদেশে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে ভালো আয় করা যায়। ফেসবুকে খুললে দেখা যায় আমাদের সামনে হাজার হাজার পণ্য নিয়ে হাজির হয়ে যায় ফেসবুক। ফেসবুকে এতো পরিমাণ মানুষ বিজ্ঞাপন চালু করেছে যাতে তাদের পণ্য বিক্রি হয়। পণ্য বিক্রি করতে আপনাকে দোকানে দোকানে যেতে হবে না। ঘরে বসে আপনি চালু করতে পারবেন আপনার অনলাইন বিজনেস।

এই ব্যবসা চালু করতে আপনার লাগবে, বেশ কিছু ইনভেস্টমেন্ট তাহলে শুরু করতে পারবেন আপনার বিজনেস। এই বিজনেস বিভিন্ন পণ্য নিয়ে চালু করতে পারেন। চীন থেকে পণ্য এনে বাংলাদেশ এগুলো বিক্রি করতে পারবেন। বিক্রি করতে আপনাকে ফেসবুক আর WhatsApp কে কাজে লাগিয়ে শুরু করতে পারবেন।

কি বিক্রি করতে পারেন?

  • পোশাক
  • শিশুদের খেলনা
  • কসমেটিকস
  • হ্যান্ডমেড পণ্য

কোথায় বিক্রি করবেন?

  • ফেসবুক পেজ
  • Daraz
  • নিজের ওয়েবসাইট

সঠিক মার্কেটিং এবং মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করলে মাসে ৫০ হাজার টাকা মতো বিক্রি করতে পারবেন।

৫. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

আমার সবচেয়ে পছন্দের আয় হলো এটা। এই্ আয় করতে আপনাকে একটা সোশাল মিডিয়া পেইজ বা একটা রিভিউ ওয়েবসাইট থাকলে হবে। Cj, Amazon, Impact, Click bank Digistore24 এগুলো সব আন্তর্জাতিক মানের Affiliates কোম্পানি। বাংলাদেশ থেকে দারাজ, bdshop ডাইনাহোস্ট ইত্যাদি এগুলো স্থানীয় মার্কেটিং বাংলাদেশ থেকে আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মূলত আপনি অন্যের পণ্যর প্রচার করবেন এবং বিক্রির উপর কমিশন পাবেন। যত পণ্য বিক্রি করবেন ততই আপনার কমিশন বাড়বে।একটা ডিজিটাল পণ্য বিক্রিতে আপনি ৩০-৫০% পযন্ত কমিশন পেতে পারেন।

কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করবেন?

  • Amazon Affiliate (আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য)
  • Daraz Affiliate (বাংলাদেশি মার্কেটের জন্য)
  • ClickBank, CJ Affiliate

কিভাবে আয় করবেন?

  • একটি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন।
  • পণ্যের রিভিউ বা গাইড লিখুন।
  • অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে বিক্রি বাড়ান।

সঠিকভাবে কাজ করলে মাসে ৫০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন।

প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় (অফলাইনে)

স্থানীয় ব্যবসা

শুধু অনলাইন নয়, অফলাইন ব্যবসার মাধ্যমেও আপনি মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। লোকাল বাজারের চাহিদা বেশি, এই ব্যবসা হলো গ্রামিণ ব্যবসা বা গ্রাম থেকে পণ্য এনে এই ব্যবসা করা। গ্রাম থেকে শাকসবজি, দেশী মুরগী এনে পাইকারি সাপ্লাই দিয়ে আয় করা যাবে ১৫০০- ১৮০০ টাকা এটা হিসেবে করলে প্রতিমাসে ৫০ হাজার উপরে আয় হবে। এই ব্যবসসর জন্য আপনাকে স্থানীয় বাজার বিশ্লেষণ করতে হবে ব্যবসায়ির সাথে কথা বলতে হবে। ব্যবসায়িরা কত টাকা করে ক্রয় করবে, নগদ অর্থ কত টাকা দিবে ইত্যাদি।

ব্যবসায়িদের সাথে সম্পর্কে তৈরি করে,খামারিদের কে ম্যানেজ করে সাপ্লাই দিবেন। দিন শেষে আপনিই হবেন কিং অব বিজনেস অর্থাৎ এখানের টাকা ওই খানে সাপ্লাই দিয়ে মাঝখানে একটা কমিশন নিবেন এটাই হবে আপনার বিজনেস ফর্মুলা।

কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন?

  • শাক- সবজি
  • হাঁস-মুরগি
  • কচুর লতি
  • কচু শাঁক
  • কচু ইত্যাদি

সঠিক লোকেশন ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করলে আয় নিশ্চিত। এটাতে হালকা পাতলা ইনভেস্ট করলে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে ইনশাআল্লাহ আপনি সফল হতে পারবেন।

কিভাবে সাফল্য পাবেন?

  1. একটি নির্দিষ্ট কাজ বা ব্যবসায় দক্ষ হন।
  2. প্রতিদিন সময় দিন (অন্তত ৮-১২ ঘণ্টা)।
  3. মার্কেটিং শিখুন
  4. ধৈর্য ধরুন – প্রথম কয়েক মাসে আয় কম হলেও সময়ের সাথে বাড়বে।

লোকাল পণ্য ডেলিভারি

আমাদের এতো সময় নাই দৈনন্দিন পণ্য ক্রয় করে বাসায় দিয়ে আসা। এই ব্যবসা একদম ইউনিক আইডিয়া, আপনি ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে এই সেবাটি দিতে পারবেন।

মানুষ কর্মতে ব্যস্ত! অফিসে চলে যায় বাড়িতে ডেইলি বাজার নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না তাদেরকে আপনি সহযোগীতা করতে পারেন ছোট একটা ডেলিভারি চার্জ নিয়ে। প্রতি ডেলিভারিতে ৪০-৫০ টাকা নিতে পারেন এলেকা ভিত্তিক।

 লোকাল পণ্য ডেলিভারি
লোকাল পণ্য ডেলিভারি

আপনি থাকেন ধানমন্ডিতে ওইখানে একটা এলাকার নাম দিয়ে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার দিয়ে একটা ডেলিভারি পেইজ খুলে প্রাথমিক অবস্থায় শুরু করা যায়।

শুরু করতে কি কি লাগবে?

একটা ফেসবুক পেইজ
আপনার কোম্পানির লোগো ক্যানভা দিয়ে ডিজাইন করতে পারবেন।
কয়েকজন ব্যাকার জনবল
সম্ভব হলে একটা অফিস।
হ্যাল্পলাইন নাম্বার।

কত টাকা আয় করা সম্ভব?

প্রতিদিন ৫০ টা অর্ডার পেলে 40×50 = 2000 টাকা মাস শেষে ৬০ হাজার টাকার উপরে আয় হবে।

সর্বশেষ

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করা বাংলাদেশ থেকে সম্ভব, যদি আপনি সঠিক পরিকল্পনা, পরিশ্রম এবং অনলাইন ও অফলাইন সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেন। আজ থেকে শুরু করুন দেখবেন ৬ মাস পরে গিয়ে আপনার আয় হবে স্বপ্নের মতো করে। স্কিল ছাড়া আয় সম্ভব নয়,যত নিখুঁত স্কিল থাকবে ততই আপনার আয় হবে।

Post A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Leave a Reply