Skip to content

বাংলাদেশে ব্যবসা করার আইডিয়া

  • by

ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তবে ব্যবসা করার আইডিয়া মাথায় আসে না। ব্যবসা করবো, কি করে ব্যবসা করবো তার সঠিক পরিকল্পনা আমাদের নাই।আজকের এই ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো বাংলাদেশে ব্যবসা করার কিছু কার্যকরী আইডিয়া, বাড়িতে বসে ব্যবসা করার উপায় ? কি করে ব্যবসা করার আইডিয়া মাথায় নিয়ে আসবো তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

ব্যবসা করার আইডিয়া মাথায় আসে না কেন?

আমরা আগে ব্যবসা করি নাই তাই ব্যবসার আইডিয়া আমাদের মাথায় আসে না। অন্য মানুষে যে ব্যবসা করে সেটা দেখে আমাদের মাথায় ব্যবসার আইডিয়া আসে তার আগে আসে না।

ব্যবসা শুরু করার আগে আমাদের ভয়টা কাজ করে। এই ভয়ের জন্য ব্যবসা শুরু করাটা অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
অনিশ্চিয়তা হওয়ার মূল কারণ হলো আমাদের কাছে তেমন মূলধন নেই। যদি কোন কারণে ব্যবসা লস খেলে এই এখান থেকে রিকোভার করা অসম্ভব।

হয়তো ব্যবসার জন্য আমরা লোন নিবো, লোনের টাকা পরিষদ করা আমাদের জন্য কষ্ট কর হয়ে যাবে।যদি রিস্ক নিয়ে নেমে পড়ি তাহলে সামনে এগোতে আর কোন সমস্যা নাই। ভয়কে কাবু করতে পারলে সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।

ভয়ের পর আসে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাব, আমাদের তেমন নলেজ নাই কোন কিছু শুরু করার জন্য।মনে করুন আপনি ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসবেন, আপনার গাড়ির চালক নতুন, সে কখনো ঢাকা টু কক্সবাজার রোডে গাড়ী চালাই নাই।

ওই ড্রাইবার কি আপনাদের সঠিকভাবে কক্সবাজারে নিয়ে আসতে পারবে? একটু ভাবুন তো। অবশ্যই পারবে, ড্রাইবার তো গাড়ি চালক হয়েছে অনেক আগে তবে ঢাকা রোডে গাড়ি চালায়নি তো কি হয়েছে , গাড়ি চালাতে চালাতে শিখে যাবে, প্রতিটি ড্রাইবারই নতুন হয় তার প্রথম গন্তব্যে।

আপনি হয়তো আজকে নতুন, কালতো পুরাতন হবেন।এই বার বুঝলেন তো ব্যবসা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে আইডিয়া আসাটা কতটা কঠিন।রিস্ক নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন, ধাক্কা খেয়ে পাক্কা হয়ে যাবেন। অনেকেই রিস্ক নিতে চান না ব্যবসা করতে গেলে রিস্ক নিতেই হবেই।

এই মানসিকতা না থাকলে নতুন আইডিয়া আসবে না। কেউকি ভেবেছিলো বাড়িতে বসে খাবার অর্ডার করে ৩০ মিনিটের মধ্যে খাবার চলে আসবে। একজন রিস্ক নিয়ে এই আইডিয়াটা এনেছিলো আজকে এই আইডিয়ার জন্য বড় একটা বিজনেস চেইন দাড় হয়ে গেলো।

রিস্ক নিয়েছিলো বলে আজ বড় একটা সফল বিজনেস দাড় হয়ে গেছে। তখন তো বাজারে মার্কেট রিসার্চ এর তেমন টুলস তো ছিলো না। এখন যে কোন ব্যবসার জন্য মার্কেট চাহিদা বুঝাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন কেউ ব্যবসা করতে হলে মার্কেটের চাহিদা বুঝতে পারে না। অনেক সময় মার্কেটে কী চাহিদা আছে তা বুঝতে না পারার কারণে নতুন আইডিয়া মাথায় আসে না। এর জন্য ব্যর্থ হওয়ার সম্ভবনা বেশি।

কোন ব্যবসা সবচেয়ে ভালো?

সব ব্যবসাই লাভজনক! শুধু সুদের ব্যবসা ছাড়া। সুদ মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, এই ব্যবসা কোন দিন করবেন না। আপনি কোন ব্যবসা করতে চাচ্ছেন সেটার ওপর নির্ভর করে আপনি লাভজনক করে তুলতে পারেন।

  • কৃষি পণ্য।
  • গরুর খামার।
  • জৈব সার তৈরি।
  • কেঁচো সার।
  • অনলাইন শপিং।
  • ই-কমার্স।
  • অনলাইন পণ্য।
  • কোচিং সেন্টার।
  • টিউশন মিডিয়া।
  • ফ্রিল্যান্সিং।

বাড়িতে বসে ব্যবসা করার উপায়?

পড়াশোনা শেষ করার পর আমরা চাকরি জন্য দৌড়াদৌড়ি করে থাকি।কখনো কি দেখেছেন পড়াশোনা শেষে বিজনেস এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিল হাতে গোনা কয়েকটি।

ফ্রিল্যান্সিং:

বাড়িতে বসে আয় করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক হলো ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব তবে তার জন্য কঠিন সত্য হলো আপনার স্কিল হতে হবে হাই-কোয়ালিটি। অনেকে মনে করে থাকে Ai চলে আসাতে ফ্রিল্যান্সিং কাজ আর হয় না। এটা হলো ভুল ধারণা, AI আসার ফলে এটার জন্য নতুন নতুন ক্যাটাগরি এসেছে কি করে AI এর মাধ্যমে ও সেবা দিয়ে আয় করবেন।

কয়েকটি জনপ্রিয় ক্যাটাগরি হলো,গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস:

হ্যান্ডমেড পণ্যের চাহিদা দিনবা দিন জনপ্রিয় হচ্ছে হ্যান্ডমেড তৈরি পণ্য। তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো জুয়েলারি, ক্যান্ডেল, সাবান, কাপড়।এগুলো তৈরি করে অনলাইনে মাধ্যমে বিক্রি করা যাবে। দারাজে ও লিস্টিং করা যাবে আপনার পণ্য। ফেসবুকে একটা পেইজ তৈরি করে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেল তৈরি করা সম্ভব।

ফুড ডেলিভারি সার্ভিস:

বাড়িতে তৈরি খাবারে চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষত ঢাকা শহরে মতো মতো জায়গায় এটার চাহিদা বেশি। কর্ম বিরতি ঢাকা শহরে এই খাবার চাহিদা বেশি। আপনার খাবার ভালো হলে সবাই আপনার খাবারে জন্য অপেক্ষায় থাকবে।

দুপুরে খাবার তৈরি করে, বক্সের মাধ্যমে অফিস অফিসে গিয়ে সরবরাহ করা যেতে পারে।খাবার কোয়ালিটি অনুযায়ী আপনার খাবারের মূল্য নির্ধারন করা যাবে।

আরও পড়তে পারেন:

ঢাকা শহরে ব্যবসার আইডিয়া? অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা

ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা: বাংলাদেশে শুরু করার সেরা ব্যবসার আইডিয়া

ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করার ধারাবাহিক ধাপসমূহ কি কি?

২ হাজার টাকা দিয়ে কীভাবে ব্যবসা শুরু করবেন

গ্রামে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করার দারুণ উপায়

ই-বুক :

এটা শুধু মাত্র যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করে তাদের জন্য। ই-বুক যে কেউ লেখতে পারে না, যাদের লেখালেখি জ্ঞান ভালো তারাই মাত্র ই-বুক নিয়ে লিখতে পারবে। বিভিন্ন রকমের বই, গল্প, বাস্তব জীবনের কাহিনি নিয়ে বই সাজাতে পারেন।
ই-বুক বিক্রি মূল প্লাটফর্ম হতে পারে ফেসবুক, নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং দারাজের মতো ই-কমার্স মতো ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বিক্রি করা যায়।

ব্লগিং:

বাংলা ব্লগিং জনপ্রিয় হচ্ছে বর্তমান সময়ে। গুগল এডসেন্স এর জন্য ব্লগ হলো আয় করার সেরা মাধ্যম। আপনার লেখালেখি করতে ভালো লাগলে তাহলে আজই শুরু করতে পারেন ব্লগিং বিজনেস।

ব্লগিং শুরু করতে লাগবে সামান্য পরিমাণে ইনভেস্টমেন্ট?
একটা ডোমেইন, হেস্টিংস, থীম বাস ভালো মতো কাস্টমাইজড করে আজই শুরু করে দিন ব্লগিং বিজনেস।

সর্বশেষ,

বাংলাদেশ ব্যবসা করার অসংখ্য সম্ভবনা আছে সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য সঠিক পরিকল্পনা ভালো আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করলে সফল হওয়া যাবে অতি তাড়াতাড়ি। ব্যবসা শুরু করতে ভয় পাবেন না ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে নেমে পড়ুন দেখবেন আপনি সফল হবেন।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন যদি এটি উপকারী মনে হয়।আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করতে ভুলবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *