Skip to content

বাৎসরিক আয় বলতে কী বোঝায়?বার্ষিক আয় কেন প্রয়োজন?

  • by

একটি পরিবারের মাসিক খরচ কত হবে সেটা নির্ভর করে ইনকামের ওপর ঠিক তেমনি বাৎসরিক আয় ও নির্ভর করে ইনকাম এবং প্যাসিভ আয় কত আছে সেটার ওপর? আপনার বাৎসরিক আয় কত? নিশ্চয়ই আপনি জানেন যদি আপনি চাকরি করে থাকেন তো কিংবা ব্যবসা করে থাকেন তাহলে।

আয়-ব্যায়ের হিসাব করে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন বছর আসলে সবাই চাই তাদের ইনকামে উৎস টা আরও বৃদ্ধি হোক। মাসিক এবং বার্ষিক আয় হিসাব না থাকলে যে কোন প্রতিষ্ঠান লসে থাকবে কারণ ও-ই কোম্পানির বোঝার উপায় নাই তার আয় হচ্ছে কত আর ব্যয় হচ্ছে কত।

এ ব্লগপোস্টে আমরা বাৎসরিক আয় নিয়ে আলোচনা করবো।

বাৎসরিক আয় কাকে বলে? বাৎসরিক আয় বলতে কোনো ব্যক্তি, পরিবার, বা প্রতিষ্ঠানের এক বছরে বিভিন্ন উৎস থেকে অর্জিত মোট আয়ের পরিমাণকে বোঝায়। এটি সাধারণত জানুয়ারি ১ তারিখ থেকে ডিসেম্বর ৩১ তারিখ পর্যন্ত হিসাব করা হয়।মোট কথা হলো বছরের প্রথম দিন থেকে বছরের শেষ দিন পর্যন্ত হিসাব করা হয়।

বার্ষিক আয়ের উৎসগুলো:

  • চাকরির বেতন।
  • ব্যবসার লাভ।
  • বিনিয়োগ থেকে আয় (শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড)
  • বাড়ি ভাড়া ও জমি ভাড়া।
  • বোনাস ও ইনসেন্টিভ ।

প্রতিটি উৎস থেকে আয়ের হিসাব বার্ষিক আয়ের অংশ হিসেবে ধরা হয়।

কেন বাৎসরিক আয় হিসাব করা প্রয়োজন? (Why is it necessary to calculate annual income)

বাৎসরিক আয় হিসাব করলে বোঝা যায় কতটাকা আয় হয়েছে ওই অর্থবছরে। এই হিসাবের ফলে কোন প্রতিষ্টানের ভারসাম্য ঠিক থাকে। কেন আর্থিক হিসাব প্রয়োজন তা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হলো:

আর্থিক পরিকল্পনা:বাৎসরিক আয়ের হিসাব আপনাকে সঠিক আর্থিক পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে। মাসিক আয় ও খরচ বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন কোথায় খরচ বেশি হচ্ছে এবং কীভাবে তা কমানো যায়।কোন জায়গায় কত খরচ হচ্ছে সেটা বোঝার উপায় থাকে। কোথায় ইনভেস্ট করা যাবে, কোন ইনভেস্ট কত লাভবান হয়েছে ইত্যাদি সব হিসাব করা যায়।

মনে করুন, যেকোন একটা প্রতিষ্ঠানের ২০ জন কর্মচারি আছে।ওই প্রতিষ্ঠানে লাভ কত হচ্ছে, লস কত হচ্ছে সেটা হিসাব করতে হলে। কর্মচারির মাসিক বেতনে, খাওয়া থাকা, তাদের থেকে কত টাকা বেনিফিট পাচ্ছে কোম্পানি সবই হিসাব করতে হয়।

এই হিসেবে ফলে কোম্পানি আর্থিক পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়।

কর নির্ধারণে সহায়তা:প্রতিবছর কর দিতে হয় আয়ের উপর ভিত্তি করে।কর দেওয়া বাধ্যতমূলক।কর না দিলে সরকার আইনগত ব্যবস্তা নিবে ওই সকল প্রতিষ্টান বা ওই সকল ব্যক্তিদের যাদের কর দেওয়া সামার্থ আছে। সঠিকভাবে কর দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের জন্য বাধ্য লতামূলক। কর দেওয়াতে সরকার এবং রাষ্ট্র উভয় উপকৃত হয়।

প্রতি বছর একবার কর দিতে হয়। এই কর দিতে কোম্পানির ট্রানঅভার এর ভিত্তিতে। কত টাকা মুনাফা হয়েছে সেটা ওপর ভিত্তি করে কর দিতে হয়।

আরও পড়তে পারেন:

মাসিক আয় বলতে কি বুঝায়: কিভাবে পরিচালনা করবেন

রেমিট্যান্স মানে কি? প্রবাসী আয়ের অর্থনীতি

বাংলাদেশ সরকারের আয়ের প্রধান উৎস কি

ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা: বাংলাদেশে শুরু করার সেরা ব্যবসার আইডিয়া

ঋণ গ্রহণ: ব্যবসা করলে ঋন লাগবে অবশ্যই।ঋণ না নিলে ব্যবসা বড় করা সম্ভব না। আপনার ঋণ লাগলে কোম্পানি তখনই ঋণ দিবে আপনার বাৎসরিক আয় ভালো হলে। মাসিক আয়ের উপর ব্যাংক লোন দেয় না। লোন নিতে হলে আপনাকে আপনার আয়ের প্রমাণ দেখাতে হবে তারপরেই আপনি লোন পাবেন।আরও বলে রাখা ভালো বছরে আয় কতটা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেয়েছে তা বিশ্লেষণ করে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা সহজ হয়।

বাৎসরিক খরচ কীভাবে কমানো যায়?

আমরা সবাই চাই খরচ কি করে কমানো সম্ভব। বর্তমান সময়ে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে খরচ কমানো তেমন করে সম্ভব হয় না। এই খরচ কমাতে হলে নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হয় হিসাবে এর প্রতি তাহলে কিছুটা কমানো সম্ভব।

বাজেট তৈরি করুন:

আমরা এই সাইটে মাসিক আয়, বাজেট তৈরি নিয়ে একাধিক বার আলোচনা করেছি।আপনি চেষ্টা করুন মাসিক ইনকামের একটি অংশ সঞ্চয়ের জন্য বরাদ্দ করুন। তাহলে আপনার আংশিক খরচ সেব হবে।

Uddin বাজেট তৈরি

বাজেট তৈরিতে মনোযোগ দেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কতো টাকা খরচ হচ্ছে, কোন সেক্টরের কত টাকা খরচ হচ্ছে সেটা লিখে রাখলে পরবর্তী মাসে খরচটা কমানে সম্ভব। অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো বাদ দেওয়া যায় তাহলে আপনার বাজেট তৈরিতে সহজ হবে।

অপচয় কমান:

অপচয় শয়তানের ভাই, অপচ করলে কোন মানুষ উন্নত হতে পারে না। আমাদের হাতে টাকা থাকলে আমরা বিলাসিতা করতে পছন্দ করি। কোন কারণ ছাড়া আমরা বিলাসিতা করে থাকি, টাকা আসলে হুট হাট করে খরচ করে পুরো মাস জুড়ে আস্তে আস্তে খরচ করতে হয়। চেষ্টা করুন অপ্রয়োজনীয় বিলাসিতা এড়িয়ে চলতে। কোন জিনিসপত্র কেনার আগে প্রয়োজনীতা বিবেচনা করে জিনিসপত্র ক্রয় করুন।

ডিসকাউন্ট এবং অফার ব্যবহার করুন:

কেনাকাটার সময় ছাড় ও অফারের সুযোগ নিন। বর্তমান সময়ে কোন মলে ডিসকাউন্ট প্যাকেজ দিয়ে থাকে বিশেষ করে স্বপ্নতে। মাঝেমধ্যে এই অফার চলে এই অফার কাজে লাগিয়ে কেনাকাটা করা উওম।পাইকারি জিনিস পত্রের চাহিদা মিডলক্লাস পরিবারের জন্য উপযুক্ত একটা সুযোগ। ডিসকাউন্ট পেলে পুরো মাসের বাজার করে নেওয়া যায়।

সঞ্চয় পরিকল্পনা করুন:

আমরা আগেও আলোচনা করেছি নূন্যতম ১২.৫% সঞ্চয় করা উচিৎ একজন মানুষকে তারা মাসিক আয়ের। এই আয় হিসাব করলে বছর শেষে বড় একটা এমাউন্টে পরিণত হয়ে যায়। চেষ্টা করুন ১২.৫% না পারলেও অন্তত ছোটকাটো একরা প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সঞ্চয় করার অভ্যাস তৈরি করুন। তাহলে আপনার পরিকল্পনা সফল হবে। সঞ্চয় করলে হবে মুনাফা লাভবান হবে পরিবার। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে উৎসাহী হোন বিনিয়োগ করলে ভবিষ্যতে কথা চিন্তা করে করুন।

সর্বশেষ,

বাৎসরিক আয় শুধু একটি আর্থিক পরিসংখ্যান নয় এই পরিকল্পনার জন্য একটা কোম্পানি এবং একজন ব্যক্তির পরিবর্তন হতে পারে। যমদূত সম্ভবত এগুলো কার্যকর আর্থিক পরিকল্পনা করতে চেষ্টা করুন। সঠিকভাবে আয় ও খরচের হিসাব রাখলে ভবিষ্যৎ আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হয়। এ ছাড়া আয় বৃদ্ধি এবং খরচ কমানোর জন্য একটি সুপরিকল্পিত কৌশল অবলম্বন করলে আপনি দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারবেন।

আপনারা যদি আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন করতে চান, তাহলে এখন থেকে আপনার বাৎসরিক আয়ের সঠিক হিসাব রাখা শুরু করুন।

আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না এবং এই পোস্টটি শেয়ার করুন যদি এটি উপকারী মনে হয়।আমাদের টেলিগ্রাম জয়েন করতে ভুলবেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *